মো. আব্দুল মান্নান
ময়মনসিংহে বিভাগীয় পর্যায়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সরকারি শিশু পরিবার (বালক) ও শান্তি নিবাস, শম্ভুগঞ্জ, ময়মনসিংহে ওই কর্মসূচি পালিত হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর ও বিভাগীয় কার্যালয় এর আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া। ময়মনসিংহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক ও জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. কাইয়ুম, নেত্রকোণা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলাল উদ্দিন, জামালপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. রাজু আহমেদ এবং শেরপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এটিএম আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলার ৫টি শিশু পরিবার, ৪টি সমন্বিত অন্ধ শিক্ষা কার্যালয়সহ মোট ৯টি প্রতিষ্ঠানের ২৬১ জন শিশু ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এতে ২৩টি ইভেন্ট ছিল। এর মধ্যে খেলাধুলা ১২টি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ১১টি।
শিশুদেরকে উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার চেয়ে বড় বিষয় হলো ভালো মানুষ হওয়া। যদি তোমরা ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারো তাহলে জাতিকে তোমরা ভবিষ্যতে একটি সুন্দর দেশ উপহার দিতে পারবে। সাধারণ শিশুরা যদি পারে তাহলে তোমরাও পারবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটা জেলায় শিশু পরিবার আছে। প্রত্যেকটা শিশুর মানসিক ও দৈহিক বিকাশ সাধনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে এবং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যারা এই শিশুদের প্রতিপালন করছেন তাদের প্রতি আমার অভিবাদন ও শুভেচ্ছা রইলো।
জানা যায়, ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলার ৫টি শিশু পরিবার, ৪টি সমন্বিত অন্ধ শিক্ষা কার্যালয়সহ মোট ৯টি প্রতিষ্ঠানের ২৬১ জন শিশু ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এতে ২৩টি ইভেন্ট ছিল। এর মধ্যে খেলাধুলা ১২টি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ১১টি।
ক্রীড়া অনুষ্ঠানে যে ইভেন্টগুলো ছিল তা হলো- ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বালক ৫০ মিটার দৌড়, মোরগ লড়াই, বিস্কুট দৌড়, ১০০ মিটার দৌড়, ভারসাম্য দৌড়, দীর্ঘ লম্ফ, উচ্চ লম্ফ ও ২০০ মিটার দৌড়।
অনুষ্ঠানে সরকারি শিশু পরিবারের শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবকগণ এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত থেকে আনন্দ উপভোগ করেন।