• বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বহরকোণা দারুল উলূম বাবুস সালাম মাদরাসা অ্যান্ড ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান ঈশ্বরগঞ্জে মানববন্ধনে হামলা, এনসিপি নেতাসহ আহত ৩ আটক ১ বালিয়া মাদরাসার সহকারী মুহতামিম মাওলানা মোখলেছুর রহমান মন্ডলের ছেলে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত আলেমরা এক হলে দেশ চালাবেন তারা — মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিক, কুয়াকাটা ফুলপুরে ২ অপহৃতকে উদ্ধার ও ৩ অপহরণকারী আটক শেরপুরে ‘গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন পাগড়ি পেল খান মেমোরিয়াল এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসার ক্ষুদে ৫ হাফেজ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান, ৩ জনকে অর্থদণ্ড ময়মনসিংহের নতুন ডিসি সাইফুর রহমান, বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন অবহেলিত ঈশ্বরগঞ্জে উন্নয়নের ছোঁয়া আনব: বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাজেদ বাবু

সাংবাদিকরা নীতি ভ্রষ্ট না হলে সমাজ থেকে সকল অনিয়ম পালিয়ে যেতো — খায়রুল আলম রফিক

Reporter Name / ৪৮ Time View
Update : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

মো. আব্দুল মান্নান :

‘দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোঃ খায়রুল আলম রফিক বলেছেন, কিছু সাংবাদিক নীতিভ্রষ্ট হয়ে গেছেন। সাংবাদিকরা নীতি ভ্রষ্ট না হলে সমাজ থেকে সকল অনিয়ম পালিয়ে যেতো। অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক আমার অনুসন্ধানী নিউজ প্রকাশ না করার জন্য তদবির করেছেন। কিন্তু কেন?

তিনি বলেন, ‘আমার ১৬ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেক সাংবাদিক আমার অনুসন্ধানি নিউজ প্রকাশ না করার জন্য তদবির করেছেন। তাদের কথা শুনলে আমি খুব ভালো কিন্তু যখন শুনতে পারবো না তখন আমিই হই তাদের কাছে খুব খারাপ মানুষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে যদি আমরা কারো কথায় কাউকে ছাড় দেই তাহলে আমাদের সাংবাদিকতা থাকে কোথায়?’ উনার অনুসন্ধানে এমন ঘটনাও বেরিয়ে এসেছে যে, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হামলা করা হয়েছে, যার পেছনে রয়েছে সাংবাদিকদেরই আরেকটি অংশ। একজন প্রকৃত সাংবাদিককে বিনা দোষে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে অথচ এর পেছনে অন্যরা প্রতিবাদ না করে বরং তাল মিলাচ্ছে। সাংবাদিকদের মধ্যে একাধিক গ্রুপ, উপগ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপিংয়ের মধ্যে পড়ে ভালো ভালো সাংবাদিক অন্ধত্ব বরণ করেছে। বধির ও বোবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সত্যকে সত্য বলার সাহস হারিয়েছে। যে কারণে সাংবাদিকতা আজ বিপর্যস্ত। রাস্তায় রাস্তায় মার খাচ্ছে। মার খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে সাংবাদিকতা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারা? প্রকৃত সাংবাদিকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি।

যারা মান সম্মানওয়ালা সাংবাদিক তারা তাদের সম্মান খোয়াইছেন। আর যারা প্রকৃত সাংবাদিক না, ভণ্ড, প্রতারক, চাঁদাবাজ তাদের হারাবার কি আছে, বলুন?

এভাবে গ্রুপিংয়ের জাতাঁকলে পিষ্ট হয়ে, আঁতরা, লেংড়া, প্রতিবন্ধী হয়ে প্রকৃত সাংবাদিক কমছে, বাড়ছে না। যদি প্রকৃত সাংবাদিকের সংখ্যা বাড়তো, সাংবাদিকদের সম্মান থাকতো,  সাংবাদিকতার চর্চা হতো তাহলে কখনোই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। সাংবাদিক নীতি ভ্রষ্ট না হলে সমাজ থেকে সকল অনিয়ম পালিয়ে যেতো। এজন্য আসুন, গ্রুপিং বর্জন করি। প্রকৃত সাংবাদিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করি। টাউট বাটপার, চাঁদাবাজ ও প্রতারকদের এ পেশায় নিরুৎসাহিত করি। তাহলে সাংবাদিকতা আপনার নিজের ও দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা