অনলাইন ডেস্ক :
ট্রাকের হেলপার থেকে শিক্ষায় বিসিএস ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন মো. শফিকুল ইসলাম। ২০০৫ সালে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন তিনি ছিলেন ট্রাকে। হেলপার হিসেবে কাজ করছিলেন। ফলাফলটাও জানতে পারেননি। পরদিন বাসায় ফিরে জেনেছিলেন কুড়িগ্রাম জেলায় মানবিক বিভাগ থেকে একমাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি!
অথচ এই ছেলেটির স্কুল জীবন কেটেছে একজোড়া প্যান্ট-শার্ট দিয়ে। পায়ে জুতো না থাকায় কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন। পরে সহপাঠীরা টাকা তুলে জুতো কিনে দিয়েছিলেন তাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন তিনি লিফলেট বিলি করে। কম্পিউটার অপারেটর হয়ে। বিসিএস ভাইভায় অংশ নিতে গিয়ে আবারও একই অপমান! ফরমাল পোশাক কেনার সামর্থ্য ছিল না তার। তবুও হাল ছাড়েননি শফিকুল।
অবশেষে সেই ছেলেটিই ৩৫তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে সরকারি কলেজের লেকচারার মো. শফিকুল ইসলাম।
ট্রাকের হেলপার থেকে শিক্ষক হওয়ায় শুধু তার নিজের নয় বরং পুরো পরিবারের আশার আলোয় পরিণত হয়েছেন তিনি। যে কোন দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য শফিকুল এখন অনুপ্রেরণা ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব।
যারা স্বপ্ন দেখার সাহস হারাচ্ছিলেন তারা শফিকুল ইসলামের গল্প শুনে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। মুরুব্বিরা বলেন, ‘পরিস্থিতি নয় বরং দৃঢ়তাই নিয়তি বদলায়’।
* মা-বাবার সাথে শফিকুল ইসলাম।