মো. আব্দুল মান্নান :
রিকশা থেকে পড়ে আহত হয়েছে ফারজানা (৮)। ওদের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার পারতলা গ্রামে। ওর বাবা ফারুক বেশ কয়েক বছর ধরে গাজীপুর চৌরাস্তায় সপরিবারে থাকেন। হয়তো কোনো কাজকাম করেন বা দোকান করেন।
বিবি সাহেবকে বাসায় রেখে ফারজানাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি।
বাড়ি থেকে বহু মালামাল নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করে আসেন ফারুক। তার পায়ের নিচে সম্ভবত চালের বস্তা। হাত দুটোও বন্ধ। এমতাবস্থায় মেয়েটি হঠাৎ রিকশা থেকে পড়ে যায়।
আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ফুলপুর বাসস্ট্যান্ডে আসলে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ি থেকে রিকশায় করে ফারজানাকে নিয়ে ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলে আসছিলেন ফারুক। এর মধ্যে হঠাৎ রিকশা থেকে সড়কে পড়ে যায় ফারজানা। আশপাশের লোকজন তাকে ধরে উঠায় কিন্তু তার বাবা ডিমের খাঁচা হাতে তখনো বসা রিকশাতেই। নামতে পারছিলেন না। এদিকে মেয়েকে উঠিয়ে সোজা করলেও মেয়েটি আবারও খাড়া থেকে গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছিল। শরীর ঘামছিল ওর। পর্দানশীন কন্যা। কেবল কুরআন শরীফের সবক নিয়েছে। বয়স বড়জোর ৮ হবে। তবু পর্দা করে। কিন্তু বোরকা পরিহিত থাকায় ওর শরীর যেন আরও বেশি ঘামছিল।
পরে দ্রুত তার বোরকা খুলে শরীরে বাতাস লাগার ব্যবস্থা করা হয়। তখন দেখা যায়, ওর মাথায় আঘাত পেয়েছে। রক্ত বের হচ্ছিল। হাঁটু ও কনুইতে ব্যথা পেয়েছে। আরও কোন জায়গায় ব্যথা পেয়েছে কি না, জানা যায়নি। তার অবস্থা খারাপ দেখে একজন পথচারী তার বোতলের খাবার পানি ফারজানার মাথায় ঢালছিল। সেবা করছিল। মাথায় পানি ঢালার পরও ফারজানা স্বাভাবিক হচ্ছিল না। চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল ওর। শরীর ভেঙেচুরে যাচ্ছিল। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না। পরে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবশ্য পরে আর খবর নিতে পারিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, হয়তো ফারজানা এখন ভালো আছে। আগে থেকে অসুস্থ ছিল কি না জানা যায়নি। তবে সে একটু দুর্বল বলে মনে হয়েছে। ফারজানা ভালো থাকুক। পর্দানশীন একজন কন্যা সে। কুরআনের ছাত্রী। একদিন সে অনেক বড় হবে। আলেমা হবে। আল্লাহওয়ালা হবে। একজন আল্লাহওয়ালা মানুষ সারা জাহানের চেয়েও দামী। আল্লাহ তায়ালা তাকে পরিপূর্ণ সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার তাওফীক দান করুক।