আজ
|| ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
ফুলপুর হাসপাতালে দালাল আটক, মুচলেকায় ছাড়
প্রকাশের তারিখঃ ১৪ নভেম্বর, ২০২৪
মো. আব্দুল মান্নান :
ময়মনসিংহের ফুলপুরে নেক্সাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী পরিচয়দানকারী এক নারী দালালকে আটকের পর মুচলেকায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালালমুক্ত করার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করাকালীন ওই নারী দালাল আটক হন।
পরে ওই নারী তার নিজের ভুল স্বীকার করে আর দালালি করবে না মর্মে ক্ষমা চাওয়ায় ও মুচলেকা দেওয়ায় তাকে ছাড় দেওয়া হয়।
জানা যায়, চক্ষু হাসপাতাল, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সব মিলিয়ে এ ধরনের ২৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে অল্প কয়েকটি ছাড়া বাকি সব প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে দালাল। কোনটিতে ৪ জন, কোনটিতে ৬ জন, ৮ জন এমনকি কোনটিতে ১০ জন করে দালাল রয়েছেন। সবমিলিয়ে ফুলপুর হাসপাতাল এলাকায় কমপক্ষে ৫০ জন দালাল কাজ করেন।

ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, দালালদের দৌরাত্ম্যে ও যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ। ওরা আমাদের হাসপাতালের বদনাম ছড়ায়। রোগীদেরকে বলে, হাসপাতালে ভাল ডাক্তার নেই। পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য ভাল যন্ত্রপাতি নেই। আমার সাথে আসুন কম খরচে ভাল ডাক্তার দেখিয়ে দেই। ইত্যাদি বলে প্রতারণা করে রোগীদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। অথচ আমাদের ইসিজি, আল্ট্রা সনোগ্রাম ও এক্স-রে মেশিনসহ সবই আছে। আমরা হাসপাতালে এসব পরীক্ষা করাই। হাসপাতাল থেকে যে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয় রিপ্রেজেনটেটিভের নাম করে এক ধরনের দালালরা ওটা রোগীর হাত থেকে টান দিয়ে নিয়ে যায় এবং ডাক্তার যে কয়টা টেস্ট দেন এর সাথে তারা নিজে থেকে আরও টেস্ট যোগ করে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষাগুলো করাতে বুঝিয়ে সুজিয়ে বাধ্য করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক বলেন, আপনারা দালালদের খপপড়ে পড়বেন না। সরকারি সুবিধা থাকতে কেন অন্যত্র যাবেন? হাসপাতাল এলাকায় ঢাকা-হালুয়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দিয়ে সবাইকে সতর্ক করেন তিনি। তিনি বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় বেশ কিছু দালাল টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। আজ আপাততঃ সতর্ক করা হলো। পরবর্তীতেও যদি এরকম করা হয় তাহলে সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আর মনে রাখবেন, শুধু আজকের জন্য নয় বরং এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলম সিয়াম, ফুলপুর থানার এসআই আনোয়ার, ছাত্র সমন্বয়ক লাবিব নাহাদী রাহাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশ নিউজ. All rights reserved.