আজ
|| ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
র্যাব-১৪ -এর নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর কামাল হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
প্রকাশের তারিখঃ ১ মে, ২০২৪
মো. আব্দুল মান্নান :
ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানার চর ঈশ্বরদিয়া শিমুলতলি মোড় এলাকায় চাঞ্চল্যকর কামাল হত্যা মামলার পলাতক আসামি ফয়সাল (৩২)-কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মহিবুল ইসলাম খানের নির্দেশক্রমে ময়মনসিংহ সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস্ অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীর ভিটা এলাকা থেকে আসামি ফয়সালকে গ্রেফতার করা হয়। ফয়সাল ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদিয়া শিমুলতলি মোড়ের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র ও এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি। এত দ্রুততম সময়ের মধ্যে চাঞ্চল্যকর কামাল হত্যা মামলার আসামি ফয়সালকে গ্রেফতার করায় র্যাব-১৪-কে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হচ্ছে।
জানা যায়, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তারা আস্থা অর্জনসহ প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ -এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যাসহ যে কোন অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটলে উহা দমনের লক্ষ্যে তারা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে হত্যার মত জঘন্য কাজ থেকে সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে তারা নিয়মিত নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছেন।
উল্লেখ্য, কামাল হত্যা মামলার বাদি কামরুন্নাহার (৫৫) এবং বিবাদী মোঃ ফয়সালসহ অন্যান্য বিবাদীরা পরষ্পর প্রতিবেশি। বাদি এবং তার পরিবারের লোকজনের সাথে বিবাদীদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিবাদীরা পূর্ব শক্রতার জের ধরে ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল আনুমানিক বিকাল ৫টার দিকে দা, লাঠি, লোহার রড, শাবল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদির বসতবাড়িতে প্রবেশ করে অর্তকিতভাবে হামলা করে। এতে বাদির ছেলে নিহত কামালসহ বেশ কয়েকজনকে মারপিঠ করে গুরুতর আহত করেছিল। তাদেরকে হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম করেছিল। পরে বাদীসহ তার পরিবারের লোকজনের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং তাদেরক উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। জানা যায়, কামালের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ ঢাকায় রেফার করা হয়। অবশেষে ২৮ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামাল মারা যান। এ ঘটনায় তার মা কামরুন্নাহার একটু সুস্থ হয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা (নং-৭৭, ২৬ এপ্রিল) দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। কামালের মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। কামাল হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।
অবশেষে ৩০ এপ্রিল ভোর অনুমান সাড়ে ৫টার মামলার এক নম্বর আসামি ফয়সালকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ ব্যাপারে আজ বুধবার (১ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১৪ জানায়, ধৃত আসামি ফয়সালকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে র্যাব-১৪ -এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হাই চৌধুরী কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
এদিকে, ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি জানান, কামাল হত্যা মামলার আসামি ফয়সালকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশ নিউজ. All rights reserved.