আজ
|| ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
একই ফ্রেমে ফুলপুরের অতীত বর্তমান পাঁচ ইউএনও
প্রকাশের তারিখঃ ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
মো. আব্দুল মান্নান
একই ফ্রেমে ময়মনসিংহের ফুলপুরের অতীত বর্তমান পাঁচ ইউএনও। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টার দিকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার বাসভবনে তারা একত্রিত হন। সেখানে ময়মনসিংহ বিভাগে কর্মরত বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাথে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। ওই মতবিনিময় সভায় অন্যদের সাথে যোগ দেন আমাদের ফুলপুরের ৫ ডায়নামিক ও স্মার্ট ইউএনও। পরে তারা সবাই একই সাথে ছবি তুলে একই ফ্রেমে নিজেদেরকে স্মৃতিময় করে রাখেন। উনাদের মধ্যে বর্তমান ইউএনও (সবার বামে) এ. বি. এম. আরিফুল ইসলাম। উনার আগের মেয়াদে ইউএনও ছিলেন যিনি বর্তমানে নেত্রকোনার আটপাড়ার ইউএনও (সবার ডানে) এম সাজ্জাদুল হাসান। উনার আগে ফুলপুরের ইউএনও ছিলেন যিনি বর্তমানে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শীতেষ চন্দ্র সরকার (আরিফুল স্যার ও শাম্মী স্যারের মাঝে) এবং শীতেষ স্যারের আগে ফুলপুরের ইউএনও ছিলেন বর্তমানে যিনি জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) (শাম্মী স্যার ও সাজ্জাদ স্যারের মাঝে) মো. সাইফুল ইসলাম স্যার। সাইফুল ইসলাম স্যারের আগে ইউএনও ছিলেন যিনি বর্তমানে শেরপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কর্মরত আছেন (সবার মাঝে) জেবুন নাহার শাম্মী স্যার। স্যারকে খুব মনে পড়ে। যদিও তিনি আমাদেরকে মনে করার মত হয়তো বেশি সময় পান না। ২০১৮ সনের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি ফুলপুরে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি প্রথম যেদিন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন সেদিন আমাদের খলিল ভাইয়ের দিকে ইঙ্গিত করে বলছিলেন যে, আমি তো আজ নতুন। কাউকে চিনি না। শুধু উনাকে (খলিলকে) আর (আমার দিকে ইঙ্গিত করে আমার নাম উচ্চারণ করে বলছিলেন) আব্দুল মান্নান সাহেবকে চিনি। স্যার প্রথমদিনই আমার দিকে ইঙ্গিত করে আমাকে চিনেন বলে যে সার্টিফাই করেছিলেন তা শুনে মোটামুটি সবাই যেন নতুন করে আমাকে দেখছিল তখন। বিষয়টি আমাকে পুলকিত করে এবং এ নিয়ে আমি নিজেকে খুব প্রাউড ফীল করতাম। যাক, এই শাম্মী স্যার ২০১৯ সনের ২৮ জুলাই বিদায় নেন। যতদিন ছিলেন আমারসহ অনেকেরই উপকার করে গেছেন তিনি। উনাকে আমি শ্রদ্ধার সাথে আজও স্মরণ করি।
উনাদের সবার প্রতিই আমি কৃতজ্ঞ। উনারা শুধু আমার নয় বরং সবারই উপকার করে গেছেন। বিশেষ করে আমাকে যে উপকার করেছেন তা-ই বলছি। শীতেষ স্যার আমার অনেক উপকার করেছেন। সব বলে শেষ করা যাবে না। তিনি আমাদের মাদরাসায় কম্বল বিতরণ করেছেন। ছাত্রদের মাঝখানে বসে ছাত্রদের সাথে ছবি তুলেছেন। এসময় ওরা খুবই খুশি হয়েছে। যদিও রাতে তোলার কারণে ছবিটি তেমন ভাল হয়নি তবু ওই ছবিটি আমরা আজও সেইভ করে রেখেছি। ময়মনসিংহে একটি কাজের কথা মনে পড়ে। উনাকে স্মরণ করলে তিনি আমার জন্য সেখানের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। সময় দিয়েছেন। পেরেশানি করেছেন। বার বার ফোন দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কাজ করেই দিয়েছেন। এগুলো ভুলার নয়।
সাইফুল স্যার যেদিন ময়মনসিংহের মাসকান্দা এলাকায় বাসায় উঠছিলেন ওইদিনটি ছিল স্যারের জন্য খুবই ব্যস্ততার দিন। আমি জানতাম না যে স্যার এত ব্যস্ততার মধ্যে আছেন। স্যারকে ফোন দিয়েই গিয়েছিলাম কিন্তু স্যার আমাকে যেতে নিষেধ করেননি। শত ব্যস্ততায় ছিলেন তিনি। তবু জনস্বার্থমূলক একটি কাজে স্যার ওইদিন রাতে বাসা গোছানোর কাজ ফেলে রেখে লুঙ্গি পরা অবস্থায় আমার জন্য বের হয়ে এসে উপকার করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, এত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি কিন্তু আমাকে আপ্যায়ন না করে ছাড়েননি। একটি চায়ের দোকান থেকে চা ও কেক খাওয়ায়েছিলেন তিনি। মনে আছে। ভুলবো না। এছাড়া সাজ্জাদ স্যারের কাছে আসলে আমার যাওয়া হয়েছে কম। তারপরও তিনিও আমার অনেক উপকার করেছেন এবং করার জন্য চেষ্টা করে গেছেন। আর বর্তমান ইউএনও স্যার তো কেবল আসলেন। তিনি বলে দিয়েছেন যে কোন ভাল কাজে তিনি সবসময়ই আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন।
সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। সবাই ভাল থাকুন। দেশ ও জাতির সেবায় যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সুস্থতার সাথে তা চালিয়ে যান। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের মেহনতকে কবুল করুক এবং আপনাদেরকে আরও বড় বড় পদপদবী ও উন্নতি দান করুক। আপনাদের এ পদ নিজেদের ও অন্যদেরও নাজাত বা মুক্তির উসীলা হোক।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশ নিউজ. All rights reserved.