মো. আব্দুল মান্নান ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ. বি. এম. আরিফুল ইসলামকে বিদেশি তাবলীগী মেহমানরা দাওয়াত দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১টার দিকে ইউএনওর নিজ কার্যালয়ে গিয়ে তারা ওই দাওয়াত দেন। সৌদি মেহমান আমির ফুয়াদ সাআদ ইংরেজিতে ইউএনওকে দাওয়াত দেন। জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ময়মনসিংহে বেশ কয়েকটি বিদেশি জামাত এসেছে। এর মধ্যে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি জামাত আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড মসজিদে আসে। এ জামাতে ৪ জন সৌদিয়ান, ১ জন ইয়ামেনি, ১ সিঙ্গাপুরী ও ৫ জন বাংলাদেশী রয়েছেন। বাংলাদেশিরা সবাই আলেম ও সালের সাথী। ইউএনওকে দাওয়াত দেওয়ার সময় মুতারজিম হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা লালবাগের মুফতি মাওলানা উসামা। রাহবার হিসেবে আব্দুল মান্নান ও তার সাথে নীলফামারীর আব্দুল হালিম এবং ফুলপুর উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব হাফেজ মাওলানা মুফতী আতাউল্লাহ ফকির উপস্থিত ছিলেন। তখন ইউএনও অফিসে হরিণাদী এমদাদীয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আতাউল্লাহ  ফকির, ফুলপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক রাসেল  প্রমুখ আগে থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ইউএনওকে দাওয়াত দেওয়ার পর উপজেলা কৃষি অফিসার ফারুক আহম্মেদকে দাওয়াত দেওয়া হয় এবং বাদ যুহর উপজেলা জামে মসজিদে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। সেখানে কথা রাখেন সৌদি মেহমান আমির ফুয়াদ সাআদ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. বি. এম. আরিফুল ইসলামের সাথে ইংরেজিতে দীর্ঘ কথা বলার সময় জানা যায়, আমির ফুয়াদ সাআদের বাংলাদেশে এটা তৃতীয় সফর। এর আগেও তিনি আরও দুইবার বাংলাদেশে এসেছেন। প্রথমবার তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সময় লাগান। তখন ইউএনও উনাকে বলেন তাহলে আমাদের এ সরকারকে আপনি পেয়েছেন। সরকারের কি কি উন্নয়ন আপনার চোখে পড়েছে? তখন মেহমান বলেন, অনেক সুন্দর সুন্দর মসজিদ হয়েছে। এরপর মেহমান ইউএনওকে বলেন, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে অনেক উচ্চ মাক্বাম দান করেছেন। আপনার অধীনে অনেক লোক কাজ করে। অনেকে আপনাকে শোনে। আপনি যদি অধীনস্থদের একটু মসজিদে যেতে বলে দিতেন তাহলে তারা নামাজটা পড়তো। আপনি এতে প্রচুর সাওয়াব পেতেন। এছাড়া আপনিও মসজিদে গিয়ে নামাজটা পড়লে আপনাকে দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতো। জওয়াবে ইউএনও বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে এটা আমাদের অবশ্যই কর্তব্য ও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যাব না কেন? যাব। জানা যায়, এ জামাত বাসস্ট্যান্ড মসজিদে দুইদিন থাকবে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। এই দুইদিনই বাদ মাগরিব সকলের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান হবে। আর শুক্রবার বাদ ইশা উলামা হজরত ও খাওয়াসদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বয়ান হবে। এতে উপজেলার সকল মসজিদ মাদরাসায় ইতোমধ্যে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানান ফুলপুর তাবলীগের মুরুব্বি আল ইমরান ও তার সহকর্মীরা। আল্লাহ তায়ালা সকলকে দীনি সহীহ বুঝ দান করুক।