মো. আব্দুল মান্নান :
পুতের চিকিৎসা খরচ চায় ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভার গোদারিয়া এলাকার মৃত আক্তার উদ্দিনের ছেলে অসহায় চা দোকানদার সুরুজ আলী।
সুরুজ আলীর ৪ জন সন্তান। সবাই ছেলে। বড় ছেলে সজিব। দ্বিতীয় রাজিব (১১), তৃতীয় মাহিম (১০) ও চতুর্থ সিয়াম (৭)। রাজিব বাড়ির পাশে আহমদিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসায় পড়তো আর বাবার চা দোকানে টুকটাক সহযোগিতা করতো। তার বাবার চা দোকানটা হলো ঢাকা-হালুয়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়কে ফুলপুর ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন খাদ্য গুদামের বিপরীত পাশে। তাদের বাড়ি চরপাড়া রোডে আহমদিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা থেকে একটু সামনে গিয়ে ডানপাশের রোডে ২ বাড়ি পরে। বাড়ি থেকে বাবার দোকানের দিকে যাচ্ছিল রাজিব। এসময় একটি রিকশার পিছনে লাফ দিয়ে ওঠে ঝুলে যেতে থাকে। পরে হঠাৎ তার পা চেইনের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এ ঘটনায় তার ডান পা ভেঙে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ১৫ দিন আগে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রাজিবের খোঁজ খবর নিতে আমরা আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বাদ ফজর তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার বাবার সাথে ও স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সে খুবই অসহায়। দেড় শতাংশের কম জায়গায় একটি ভাঙা টিনের ঘরে ৭ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকেন সুরুজ। নিজের কাছে যা ছিল তা দিয়ে ও প্রতিবেশীদের সাহায্য সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ৭০-৮০ হাজার টাকার চিকিৎসা করানো হয়েছে। আমাদের হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ কিছু সহযোগিতা করেছেন।

এখনো তার বহু টাকার প্রয়োজন। এমতাবস্থায় তার চিকিৎসা খরচ চালিয়ে যাওয়া কঠিন। ছেলেকে বাঁচাতে চায় সুরুজ। সুরুজ বলে- আমার পুত ভবিষ্যতে কিছু কইরা খাইতে পারক আর না পারুক তাকে তো বাঁচাতে হবে। আমরা বাঁচাতে চাই তাকে। এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা দয়া করে আমার পুতের পাশে দাঁড়ান।