গোলাম মোস্তফা :
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামের শিক্ষানুরাগী পরিবার হিসেবে পরিচিত তালুকদার বাড়ি আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) শুনসান নীরবতা। শোকে ঢাকা পড়েছে গোটা গ্রাম। আধা ঘন্টার ব্যবধানে চাচা ভাতিজির মৃত্যুতে শোকাহত পুরো গ্রামবাসি। চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, আশপাশের এলাকার মানুষসহ সকলেই নিহতদের বাড়িতে এসে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
এই পরিবারের অন্যতম সদস্য বওলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বওলা ডিগ্রী কলেজের দাতাসদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোঃ আবুল বাশার তালুকদার সকাল সাড়ে ৬টায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।
এর আধা ঘন্টা পরেই ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মরহুমের ভাতিজি বওলা ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি, স্বনামধন্য গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাঃ সাদিয়া সুলতানা সাথী। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।
তিনি বওলা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মরহুম এডভোকেট আবুল ফজল তালুকদারের মেয়ে। ডাঃ সাথী ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনী বিভাগে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী এক ছেলে এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের ভাতিজা বাবু তালুকদার পৃথক দুটি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এই তথ্য জানান।
এর আগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে বাসায় স্ট্রোক করেন ডাঃ সাথী। মৃত্যুর ভুয়া খবরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছিল। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অল্প সময়ের ব্যবধানে একই পরিবারের দুইজন ঘনিষ্ঠজন। এমন হৃদয়বিদারক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুক এবং পরিবারের সদস্যদের এ শোক সইবার তাওফীক দান করুক।