মো. আব্দুল মান্নান :
‘দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোঃ খায়রুল আলম রফিক বলেছেন, কিছু সাংবাদিক নীতিভ্রষ্ট হয়ে গেছেন। সাংবাদিকরা নীতি ভ্রষ্ট না হলে সমাজ থেকে সকল অনিয়ম পালিয়ে যেতো। অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক আমার অনুসন্ধানী নিউজ প্রকাশ না করার জন্য তদবির করেছেন। কিন্তু কেন?
তিনি বলেন, ‘আমার ১৬ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেক সাংবাদিক আমার অনুসন্ধানি নিউজ প্রকাশ না করার জন্য তদবির করেছেন। তাদের কথা শুনলে আমি খুব ভালো কিন্তু যখন শুনতে পারবো না তখন আমিই হই তাদের কাছে খুব খারাপ মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে যদি আমরা কারো কথায় কাউকে ছাড় দেই তাহলে আমাদের সাংবাদিকতা থাকে কোথায়?’ উনার অনুসন্ধানে এমন ঘটনাও বেরিয়ে এসেছে যে, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হামলা করা হয়েছে, যার পেছনে রয়েছে সাংবাদিকদেরই আরেকটি অংশ। একজন প্রকৃত সাংবাদিককে বিনা দোষে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে অথচ এর পেছনে অন্যরা প্রতিবাদ না করে বরং তাল মিলাচ্ছে। সাংবাদিকদের মধ্যে একাধিক গ্রুপ, উপগ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপিংয়ের মধ্যে পড়ে ভালো ভালো সাংবাদিক অন্ধত্ব বরণ করেছে। বধির ও বোবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সত্যকে সত্য বলার সাহস হারিয়েছে। যে কারণে সাংবাদিকতা আজ বিপর্যস্ত। রাস্তায় রাস্তায় মার খাচ্ছে। মার খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে সাংবাদিকতা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারা? প্রকৃত সাংবাদিকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি।
যারা মান সম্মানওয়ালা সাংবাদিক তারা তাদের সম্মান খোয়াইছেন। আর যারা প্রকৃত সাংবাদিক না, ভণ্ড, প্রতারক, চাঁদাবাজ তাদের হারাবার কি আছে, বলুন?
এভাবে গ্রুপিংয়ের জাতাঁকলে পিষ্ট হয়ে, আঁতরা, লেংড়া, প্রতিবন্ধী হয়ে প্রকৃত সাংবাদিক কমছে, বাড়ছে না। যদি প্রকৃত সাংবাদিকের সংখ্যা বাড়তো, সাংবাদিকদের সম্মান থাকতো, সাংবাদিকতার চর্চা হতো তাহলে কখনোই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। সাংবাদিক নীতি ভ্রষ্ট না হলে সমাজ থেকে সকল অনিয়ম পালিয়ে যেতো। এজন্য আসুন, গ্রুপিং বর্জন করি। প্রকৃত সাংবাদিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করি। টাউট বাটপার, চাঁদাবাজ ও প্রতারকদের এ পেশায় নিরুৎসাহিত করি। তাহলে সাংবাদিকতা আপনার নিজের ও দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে।