আজ
|| ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
এসি গাড়ির বিড়ম্বনা : তিক্ত অভিজ্ঞতা
প্রকাশের তারিখঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৫
হাফেজ মাওলানা আবু সালেহ মূসা :
আমার মনে হয়, দেখার কেউ নেই। ইউনাইটেড পরিবহনের এসি গাড়ির বিড়ম্বনা। না বলে পারছি না। এসি গাড়ির নামে যেন যাত্রী ভোগান্তি। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উঠেছিলাম। গাড়িতে ওঠার পর পেছনে সীট পেলাম।

গাড়ির একজন লাইনম্যান ওঠার সময় পিছনে টোকা দিয়ে বলল, সামনে বসেন। কিন্তু মূল যিনি দায়িত্বে তিনি বললেন, সামনে সীট নেই। পিছনে যান। পেছনে বসার পর দেখলাম, প্রচন্ড গরম। আবার ইশারা আসে সামনে যেতে। মাঝে বসার পর একজন এসে বলল, এখানে লোক আছে। লাইন ম্যান বলল, একেবারে সামনে চলে আসেন। বসলাম ড্রাইভারের পিছনে A4 সীটে। বসার পর সে লাইনম্যান আমাকে বলল, কোন খবর টবর নাই। কিছু দেন পেছন থেকে সামনে এনে বসালাম। কিছু টাকা দিবেন না?

তার চাপাচাপিতে তাকে ২০ টাকা দিলাম। কিন্তু সে খুশি নয়। সে আমাকে বলতে লাগল, নাই দিতেন। এই অল্প টাকা কে দিতে বলল? টাকা লাগবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি।
গাড়ি ছাড়ার পূর্ব মুহূর্তে সীটের লোক আসলো। দুইজন এসে বলল, এগুলো আমাদের সীট। সে বলল, কি করবেন, পিছনেই চলে যান। সে ২০ টাকা ফেরত দিতে চাইল। আমি আর নেইনি।
আবার একেবারে পিছনে গিয়ে বসলাম। গাড়ি ছাড়লো। প্রচন্ড গরম। গাড়ি যতই চলছে ততই তাপমাত্রা বাড়তেছে। এমনিতেই পুরাতন গাড়ি, গ্যাসের দুর্গন্ধ; ইঞ্জিনের তাপমাত্রা বাড়ার কারণে অসহ্য হয়ে গেলাম। দম বন্ধ হয়ে আসতেছিল। শরীর ঘামতেছিল। ড্রাইভারকে বললাম, কিছু একটা ব্যবস্থা করেন। উনি আর কিছুই করতে পারেননি।

এরই মধ্যে সুপারভাইজার এসে ৪০০ টাকা ভাড়া নিয়ে গেলো। তাকেও বললাম, ব্যবস্থা করেন। সে বলল, এভাবেই যেতে হবে। পরে ড্রাইভারকে বললাম, ত্রিশাল নামিয়ে দেন। উনি বললেন, নামতে পারেন কিন্তু কোন টাকা ফেরত পাবেন না। আমি বললাম, আমাকে আগে বাঁচতে হবে। তোমার টাকা ফেরত লাগবে না। তুমি আমাকে নামিয়ে দাও। এরপর নেমে গেলাম। গাড়ির নম্বর ০৭৭২। লোকাল গাড়িতে প্রাকৃতিক বাতাস খেতে খেতে
এই ঘটনা লিপিবদ্ধ করলাম।
সবক ঃ হুজুর মানুষের এত আরাম আয়েশ করতে নেই।
লেখক :
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী, হাফেজ, আলেম, মাশশাক্ব। ময়মনসিংহ মাখজানুল উলূম, তালতলা মাদরাসার উস্তাদ।
Copyright © 2025 দৈনিক বাংলাদেশ নিউজ. All rights reserved.